নিজেস্ব প্রতিবেদক।
পটুয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় মহিলা মেম্বার সেলিনা আক্তার লিনা এর স্বামী নাসিম আহমেদ স্বপনকে পিটিয়ে আহত করেছে একদল সন্ত্রাসীরা ।
জানাগেছে সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে আসন্ন শিশু পুস্টির নামের তালিকা প্রনয়ন চলমান থাকায় গত ২ জুন বিকেলে হেতালীয়া বাধঘাট এলাকায় বসে জনৈক এক শিশুর পিতা ফর্মে সাক্ষর দিতে আসলে মেম্বর এর স্বামী স্বপন বলেন এখানে শিশুর মায়ের সাক্ষর লাগবে ,এ নিয়ে কিছুটা কথার কাটাকাটি হলে জনৈক ব্যাক্তি চলে যায়। পরেরদিন সকাল আনুমানিক ১১ঃ৩০ এর সময় জনৈক একটি ছেলে স্বপনকে ঢেকে হেতালীয়া বাধঘাট মাছ বাজারের সামনে নিয়ে আসলে সেখানে পূর্ব পরিকল্পিত অনুযায়ী উপস্থিত মৃত হাসেম চৌকিদার এর ছেলে রেজাউল চৌকিদার,
খলিল চৌকিদার এর ছেলে সোহেল,সোহাগ,ও দুলাল,রেজাউল চৌকিদার এর ছেলে সুজন,হাসেম চৌকিদার এর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন জিকু,মজিবর চৌকিদার এর ছেলে সবুজ,জিকু চৌকিদার এর ছেলে জয়,হাসেম চৌকিদার এর ছেলে খলিল এবং মজিবর স্বপনের উপর ঝাপিয়ে পড়ে লোহার রড়, স্থানীয় বাশের লাঠি দিয়ে উপুর্যুপুরি পিটিয়ে আহত করে । স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে জায় ।
পরে স্থানীয়রা স্বপনকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন, বর্তমানে স্বপন সদর হাসপাতালের ১৫ নং কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছে । এ ঘটনায় তার স্ত্রী মেম্বার সেলিনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী গতকাল রাতে পুস্টির নামের জন্য বাধঘাটে বসলে সাক্ষর নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় এবং ঐ লোক ফর্ম নিয়ে যায় । কিন্তু সকালে হঠাৎ খবর পাই আমার স্বামীকে ব্যপক মারধর করা হয়।
পরে হাসপাতালে এসে তাকে বেহুশ অবস্থায় দেখতে পাই । এ বিষয় পটুয়াখালী সদর থানায় অবহিত করা হয়েছে। আমরা অবশ্যই এ সকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিব । অভিযুক্ত প্রায় সকলেই হেতালীয়া বাধঘাট বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ঘটনার বিষয় জানতে অভিযুক্ত সকলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি ।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যাক্তিরা জানিয়েছে অভিযুক্তরা মাছ ব্যবসায়ী হলেও এরা এলাকায় দীর্ঘ দিন যাবত সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসলেও এখনো এরা আইনের আওতায় না আসায় তারা একের পর এক অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে।
এখনই এদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া নাহলে আগামীতে বড় ধরনের সংঘাত সহ প্রান হানির আশংকা রয়েছে। এলাকাবাসী এহেনও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে কঠিনতম শাস্তির দাবী জানান ।